

তিন মাসে ১৮৭ নারী ধর্ষণের শিকার
পোস্ট করেছেন: নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২, ২০১৮ , ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: নারী ও শিশু

আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিনমাসের মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা লিখিতভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের শুরুতে রাঙামাটির বিলাইছড়িতে দুই মারমা বোনের নির্যাতনের ঘটনা স্থান পায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছিত হন চাকমা সার্কেলের রাণী ইয়েন ইয়েন। ১৭ মার্চ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুলেখা বেগম নামে এক প্রসূতি মায়ের অস্ত্রোপ্রচারের সময় নবজাতক দ্বিখণ্ডিত হয় এবং প্রসূতি মায়ের জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠে।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮৭ জন নারী ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১৯ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন ২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ২১ জন নারীকে। এই সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মারা গেছে ৪৬ জন নাগরিক। এই তিনমাসে কারা হেফাজতে মারা গেছে ২৫ জন । রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ১০৯টি। এতে নিহত হয়েছে ১১ জন, আহত হয়েছে এক হাজার ৪৮৮জন। উক্ত সময় যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৭ জন নারী। যৌন হয়রানির কারণে একজন আত্মহত্যা করেন এবং যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২ জন পুরুষ নিহত হন। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সংবাদপত্রে ১০৭ জন নারীর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়। এদের মধ্যে পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয় ৭৫ জনকে এবং আত্মহত্যা করেন ১৪ জন নারী।
গত তিন মাসে যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হন ৫৫ জন নারী। উক্ত সময়ে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় ২১ জনকে আর যৌতুকের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ৪ জন নারী। উক্ত তিনমাসে ১১ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয় এবং ৩ জন গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও এসিড নিক্ষেপের জন্য ৩ জন এবং ফতোয়া ও সালিশের মাধ্যমে আরও তিনজন নারী নির্যাতনের শিকার হন। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ১৭টি প্রতিমা ভাঙচুরসহ মন্দির ও পূজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় আহত হয় ১৯ জন।
প্রতিবেদন মতে, উক্ত তিনমাসে ৬৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হন। এ সময় সীমান্ত সংঘাতে ৩ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। সীমান্ত সংঘাতে ৩ জনকে অপহরণ করা হয়। উক্ত তিনমাসে গণপিটুনিতে মারা যায় ১৬ জন নাগরিক।
Comments
