

পুলিশ পরিচয়ে বাবার সাথেও প্রতারণা করলো ছেলে
পোস্ট করেছেন: বার্তা বিভাগ ৪ | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৮, ২০১৯ , ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অপরাধ,আইন ও বিচার,খুলনা বিভাগ,প্রচ্ছদ

যশোর প্রতিনিধি ঃ
যশোরের আটক পুলিশের আইজিপির প্রটোকল অফিসার এএসপি পরিচয়দানকারী রাকেশ প্রতারণা করেছে তার পিতা ও পরিবারের সঙ্গে। তার বাবা জানান, দোষী হলে তার বিচার হোক, সেই সঙ্গে যারা এ পথে এনেছে তাদেরও বিচার করা হোক।
আটক রাকেশের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের বহিলাপুতা গ্রামে। শুক্রবার সকালে রাকেশ ঘোষের বাড়িতে গেলে প্রতিবেশীদের ভিড় দেখা যায়।
এ সময় রাকেশের বাবা বলেন, ‘ধার দিনা করে অনেক টাকা খরচা করে যশোরের ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এম.এ পর্যন্ত পড়িয়েছি। ছাত্র থাকাকালিন ছোট বোনের নামে জমিয়ে রাখা ডিপিএসের টাকাও হাতিয়ে নেয় সে।’
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে বলেছিল পুলিশের চাকরি জন্য টাকার প্রয়োজন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। চাকরির টাকা নিতে সুপারিশের জন্য শহিদ নামের এক এসআই বাড়িতে এসেছিল। এর কয়েক দিনের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের কোনো এক সন্ধ্যায় কয়েকজন পুলিশ বাড়িতে আসে। তারা বলে, আপনার ছেলের পুলিশের অনেক বড় চাকরি পেয়েছে। আমরা তদন্তে এসেছি। তারা কয়েকটা কথা জিজ্ঞাসা করেই চলে যায়। পুলিশ তদন্তের কথা ভেবে আমি দেড় বিঘা জমি বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা ছেলের হাতে দিয়েছি। এমনকি ছেলে রাজশাহী ট্রেনিংয়ে যাওয়ার সময় চুড়ামনকাটি গিয়ে গাড়িতেও উঠিয়ে দিয়ে এসেছি। এখন শুনছি ছেলে ভুয়া পুলিশ।
এ খবর শুনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এসআই শহিদের মোবাইল ফোনে কল দেন রাকেশের বাবা। অপর দিক থেকে তিনি বলেন, কাকা, আমি রাকেশের উপরে বিশ্বাস করে বলেছিলাম। সে এমন করবে কে জানে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিফাত খান রাজিব বলেন, চৌগাছা থানার পুলিশ রাকেশের চাকরির তদন্ত করেছে কিনা আমার জানা নেই। বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নাটক করেছে সে।
উল্লেখ্য রাকেশ কয়েকদিন আগে এক মহিলাকে যশোর কোতোয়ালি থানায় পাঠায়। ওই মহিলার অন্যায় আবদার না রাখায় রাতে এএসপি পরিচয় দিয়ে রাকেশ থানার এসআই সাহিদুল আলমকে চাকরি ‘খেয়ে’ নেওয়ার হুমকি দেয়।
এএসআই মহিদুল আলমকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে দড়াটানা মোড়ে দেখা করতে বলেন। সেখানে রাকেশ পুলিশের আইজিপির প্রটোকল অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়। ইতিপূর্বে নড়াইলের এএসপি পরিচয় পরবর্তীতে আইজিপির প্রটোকল অফিসার পরিচয় দেওয়ায় সন্দেহ হয়। এ সময় এসআই সাহিদুল আলম ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় আনার পর সে পুলিশ সদস্য নয় বলে স্বীকার করে রাকেশ।
Comments
