

গাইবান্ধায় যৌতকের দাবীকরে স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের
পোস্ট করেছেন: বার্তা বিভাগ ৪ | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০১৯ , ১০:৩২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অপরাধ,নারী ও শিশু,প্রচ্ছদ,বিভাগীয় সংবাদ,রংপুর বিভাগ

“কে দিবে অভয়,কে শুনাবে আশার বাণী”
শেখ মো: সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মোহরানার মামলা দায়ের করেন আখি আক্তার। কিন্তু মামলার রায় পেলেও দীর্ঘ ৩ বসর থেকে বঞ্চিত আসেন বাদিনী ।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাচগাছী শান্তিরান ইউনিয়নের আনোয়ারুল ইসলামের কন্যা ও সিচা গ্রামের মৃত্যু শাহদৎ হোসেনের পুত্র আজিজের বিবাহ হলে কিছু দিন ঘড় সংসার করার পর আজিজ মিয়া যৌতকের নেশায় স্ত্রী আখির উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকেন ।
আখির পিতা আনোয়ারুল ইসলাম যৌতকের টাকা দিতে না পেরে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৯৭/১৫ ।
মামলা করার পর আজিজ মিয়া পালাতক থাকেন আদালত আসামী আজিজ কে গ্রেফতার করার জন্য ওয়ারেন্ট জারী করেন ।এমন ভাবে কয়েকটি ওয়ারেন্ট থাকলেও আসামী আজিজ পালাতক থাকায় গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ ।
তাই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়ে বাদিনী আখি আক্তারের পক্ষে ডিগ্রী প্রদাণ করেন । আদালত ডিগ্রীতে উল্লেখ করেন বাদিনীর মোহরানা বাবদ ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫ শত টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ১ শত টাকা ৩০ দিনের মধ্যে আসামী পক্ষ বাদিনী পক্ষের নিকট হসতান্তর করিতে হবে ।
রায়কৃত টাকা দিতে বিলম্ব করিলে আদালত পুর্নরায় আসামীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে । রায়কৃত টাকা দিতে বিলম্ব করায় আদালত আসামী আজিজের অস্থাবর সম্পত্তির উপর ক্রোক নিলামের ওয়ারেন্ট জারী করে রায়কৃত টাকা উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা প্রদাণ করেন আদালত ।
পুলিশ আসামীর বাড়িতে ক্রোক দিলে আসামীর কোন অস্থাবর সম্পত্তি পায়নি, পুলিশকে হয়রানী করার জন্য ঐ মামলার জামিনে থাকা দ্বিতীয় আসামী শাহারুল ইসলাম, ভাইয়ের অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে তার নিজ পকোটস্ত করেন । এমন কি আজিজের স্থাবর সম্পত্তি ভোগ দখলে রাখার জন্য আসামী আজিজ কে পালিয়ে থাকতে সহযুগিতা করছেন ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নারীর অধিকার নিয়ে খেলা করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছেন, আসামী আজিজের দালান বাড়ি ও সমস্থ্য সম্পত্তি ভোগ করার জন্য আপন ভাইকে বিপদের মুখে ফেলছেন শাহারুল ইসলাম ।
এলাকাবাসীর উদ্দ্যেগে মামলাটি মিমাংসা করার জন্য কয়েক বার বসানো হলে উল্টা পাল্টা কথার কারনে মিমাংসা করা সম্ভব হয় নি একমাত্র শাহারুল ইসলামের কারনে । তাই আদালতের সম্মান বজায় রাখতে আদালত যদি জামিনে থাকা দ্বিতীয় আসামী শাহারুল ইসলামকে গ্রফতার কারার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়, তাহলে আদালতের রায়কৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব বলে মনত্বব্য করেন সচেতন মহল।
Comments
