

গাঁজারাজের জয় হোক, পাপিষ্ঠের ক্ষয় হোক।
পোস্ট করেছেন: ক্রাইম রিপোর্টার, মোঃ রমজান আলী রুবেল | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৬, ২০১৯ , ১২:৪৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: আইন ও বিচার,ঢাকা বিভাগ

ক্রাইম রিপোর্টার রমজান আলী রুবেলঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ কালিবাড়ি গ্রামে গাঁজার রাজ্য।
কাওরাইদ গাঁজার রাজ্যের বর্তমান রাজা আলম গাঁজা খাঁ উত্তরাধিকার সূত্রেই ঘোর গাঁজাখোর। শুধু খোর নন, গাঁজার প্রধান পৃষ্ঠপোষকও বটে। আট-নয় বছর বয়স হবার পর থেকেই কলকিতে টান দেবার কৌশলটি একটু একটু করে রপ্ত করেছেন। পিতা সাবেক রাজা জিন্নাত আলী গাঁজা খাঁ তাকে শিখিয়েছেন কী করে গাঁজার পুরিয়া কলকিতে ভরতে হয়, কী করে গাঁজা কুচি কুচি করতে হয়, ডলতে হয়। পাতলা কাপড় ভিজিয়ে কলকি পেচানোর হাতেখড়িও বাবাই তাকে দিয়েছেন।
আলম কিশোর বয়সে দেখেছেন তার দাদা তৎকালীন রাজা গাঁজা খাঁ (অনেক আগেই মরহুম হয়েছেন) অতি বৃদ্ধ বয়সেও বউ-ছেলে-মেয়ে নিয়ে গাঁজার আসর বসাতেন। গাঁজাকে রাজা বলতেন ‘জ্ঞানবায়ু’। পরিবারের মুরুব্বি হিসাবে সবাইকে এই বিশেষ বায়ু সেবনের জন্য নিয়মিত তাগিদ দিতেন। একদিন জ্ঞানবায়ু সেবনের আসরে আলম দাদাকে বলতে শুনেছেন কী করে এই বিশেষ বস্তুটি তাদের পরিবারে বংশ পরম্পরায় আরাধনার মতো টিকে আছে। দাদা বলেছেন, মানুষকে সত্যিকার জ্ঞানী হতে হলে, জ্ঞানের চোখ খুলতে হলে জ্ঞানবায়ুর মতো উপকারী ও বিশ্বস্ত অবলম্বন আর কিছু হতে পারে না। কপালে দুই ভুরুর মাঝখানে সালাম করার মতো জ্ঞানবায়ুর কলকি একবার ঠেকিয়ে যে যত বেশি জোরে তাতে টান দেবে, তার জ্ঞানের চোখ তত বেশি প্রসারিত হবে। ধোঁয়ার টানে কলকির মাথায় যে যত বেশি আগুন ধরাতে পারবে, সে জ্ঞানের তত উচ্চতর মার্গে আরোহণ করবে। দাদাও নাকি তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে একইভাবে এই জ্ঞানবায়ু সেবনের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের কথা শুনেছেন। মনে-প্রাণে এই চেতনা ধারণ করেছেন গাঁজা আলম।
কয়েকবার পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে এসে নতুন কৌশলে নৌকায় ফেরি করে পরিচালনা করছেন গাজার রাজ্য।
Comments
