

মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের দু’পাশের দুটি রেলগেটই অরক্ষিত হওয়ায় বড় দুর্ঘটনার আশংকা
পোস্ট করেছেন: রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো চিফ , | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯ , ৯:২১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রংপুর বিভাগ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রধান রেলস্টেশন মহিমাগঞ্জের দুই পাশে অরক্ষিত দুটি রেলগেট এখন মরনফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলস্টেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত দু’দিকের দুই হোম সিগন্যালের ধার ঘেষে রেল লাইন অতিক্রম করা এ দুটি রেলগেট দিয়ে প্রতি দিন কয়েকশ’ ছোট-বড় যানবাহন ও সহস্রাধিক মানুষকে পারাপার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অচিরেই প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ ও গেটকীপার নিয়োজিত না করলে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের পূর্বদিকে বাঙ্গালী নদীর কারণে পাশর্^বর্তী সাঘাটা উপজেলার কচুয়া, কামালেরপাড়া ও জুমারবাড়ীসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নের লোকজন মহিমাগঞ্জে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেন। তখন স্বাভাবিক ভাবেই কম সংখ্যক লোকজন এ পথ দুটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু গত এক দশকে দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে এখানকার রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক উন্নয়ণ ঘটে। এ কারণে স্টেশনের পূর্বদিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙ্গালী নদীর উপরে সেতু নির্মাণ হওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার মধ্যে সংযোগের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়েছে নতুন করে। আর এ দুটি সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা দুটি পাকা হওয়ায় রেলগেট দুটিরও গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক গুণ। সান্তাহার-লালমনিরহাট রেল রুটের এ পথে এখন প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করে। এ কারণে স্টেশনের দক্ষিনে সোনাতলার দিকের জিরাই এলাকার একটি (নং-টি/৫০) ও উত্তর পাশের্^র বোনারপাড়ার দিকের বামনহাজরা এলাকার একটি (নং-টি/৫১) অরক্ষিত দুটি রেলগেট অতিক্রম করে দুর্ঘটনার আশংকা মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েকশ’ ছোট-বড় যানবাহন ও সহ¯্রাধিক মানুষকে প্রতিদিন। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হচ্ছে, পদ্ধতিগত কারণে মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনটি ইংরেজি ‘ইউ’ আকৃতির মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত হওয়ায় একেবারে কাছে না আসা পর্যন্ত কোন ট্রেনকেই দেখতে পাওয়া যায়না। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথের পথচারী ও যানবাহনকে রেলগেট দুটি অতিক্রম করতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে রেলগেট দুটির পাশে একটি ফলকে লিখে রেখেছে, ‘এই রেলক্রসিং-এ কোন গেটম্যান নাই। যাত্রী সাধারণকে নিজ দায়িত্বে পারাপার করিতে হইবে’। বর্তমানে ফলক দুটিও ময়লায় ঢেকে যাওয়ায় মানুষের চোখে আর পড়েনা।
মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে মাধুকর’কে জানিয়েছেন, দিন-রাতে ১৬টি ট্রেন চলার কারণে সব সময়ই এ দুটি রেলগেটে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে পথচারী, গাড়ীঘোড়া ও রেল ইঞ্জিনের চালকদের চলাচল করতে হয়। এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুভব করে সম্প্রতি রেলগট দুটিতে গেটকীপার নিয়োগসহ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জনস্বার্থে দ্রæত অরক্ষিত এ রেলগেট দুটিতে গেটকীপার নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন এলাকার লোকজন ।
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধায় নেটস্ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে উৎকর্ষতার একযুগ সম্ভবনাময় আগামী আনন্দলোক যুগপূর্তি সম্মাননা ও ভষ্যিৎ ভাবনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুুুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পাবলিক লাইব্রেরী হল মিলনায়তনে এ সভা অনুুুষ্ঠিত হয় ।
গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) এর নির্বাহী প্রধান এম.আবদুস্ সালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গী কবীর মিলন, উপাধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম ও ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নেটস্ বাংলাদেশ এর শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Comments
