

শ্রীপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দিলেন শ্বশুরবাড়ির পরিবার
পোস্ট করেছেন: ক্রাইম রিপোর্টার, মোঃ রমজান আলী রুবেল | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০ , ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: আইন ও বিচার,আজকের পত্রিকা,ঢাকা বিভাগ,প্রচ্ছদ,প্রথম পাতা

ক্রাইম রিপোর্টার রমজান আলী রুবেল
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতন চালিয়ে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
ওই গৃহবধূর নাম মুন্নী আক্তার (২২)। তার স্বামীর নাম সাইম আহমেদ।
৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সাইম আহমেদ এর বাড়িতে ঘটে এ ঘটনা।
জানা গেছে, পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মুন্নি আক্তার এর সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা সালেহ আহমেদ এর পুত্র সাইম আহমেদের। তাদের দাম্পত্য জীবনে মোয়াজ্জিম নামে আড়াই বছরের একজন পুত্রসন্তান রহিয়াছে।
অভিযোগ সূত্রে এবং মুন্নি জানান, বিবাহের কিছুদিন পর হতেই মুন্নি আক্তার স্থানীয় অটো স্পিনিং মিলে চাকরি করিয়া চাকরির বেতনের সমস্ত টাকা স্বামী সাইমের হাতে তুলে দিতো। পুত্র মোয়াজ্জিম জন্ম নেয়ার মাসখানেক পর থেকে স্বামী সাইম পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় ও কু-পরামর্শে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করিয়া বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কিন্তু মুন্নির দরিদ্র বাবা মজিবুর রহমানের যৌতুকের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া মুন্নি আক্তার নির্যাতন সহ্য করিয়া সংসার করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে পূর্বের দাবীকৃত যৌতুকের দুই লক্ষ টাকা আনিয়া দিতে বলিলে। মুন্নি আক্তার পিতার নিকট হইতে যৌতুকের টাকা আনিয়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধোর করিয়া ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখেন। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে সন্তানসহ পিতার বাড়িতে চলে যান মুন্নি। পিতা কে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে সুবিচারের আশায় থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী সাইম আহমেদ(২৬) পিতাঃ সালেহ আহমেদ। জাহানারা বেগম (৪৫) স্বামী সালেহ আহমেদ।আতাবুর রহমান(৪২) হাবিবুর রহমান (৩৮) উভয় পিতা আব্দুল আজিত।
এ বিষয়ে আতাবুরে মা জানায়,মুন্নির মাথায় উকুনের কারণে ঘাঁ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকদিন থেকেই মুন্নি উকুনের উপদ্রব থেকে পরিত্রাণের জন্য তার মাথা ন্যাড়া করার কথা বলছিল। এখন নিজের ইচ্ছায় মাথা ন্যাড়া করে কেন এ ধরনের কথা বলেছে তা আমরা জানিনা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই এখলাছ উদ্দিন বলেন,মামলার এজাহার ভোক্ত তিন নম্ব আসামি আতাবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেরন করা হয়েছে। বাকী অভিযুক্তকারিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
Comments
