

শ্রীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী সহ একই পরিবারের ৪জনকে গলা কেটে হত্যা।
পোস্ট করেছেন: বার্তা বিভাগ ৪ | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৪, ২০২০ , ১:৫২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: ঢাকা বিভাগ,নারী ও শিশু,প্রচ্ছদ,প্রশাসন

মোঃ নাজমুল হোসেন,শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় বসত ঘরের ভেতর একই পরিবারের ঘরের ভিতর মা-ও দুই মেয়ে ও ছেলের গলাকাটা বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের বসত ঘরে মৃত দেহের সন্ধান পেয়ে স্বজনরা পুলিশকে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা তাদের গলা কেটে হত্যা করেছে।
নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী স্মৃতি ফাতেমা (৪৫), তাঁর বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওরিন হাওয়া (১২) ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৮)। তাঁরা জৈনাবাজার এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে প্রায় দুইযুগ যাবৎ বসবাস করে আসছিলেন।
প্রবাসী কাজলের ভাতিজা নাঈম ইসলাম জানান, কাজল ১৬বছর মালয়েশিয়াতে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে এসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। দেশে আসার সময় ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা স্মৃতি ফাতেমাকে বিয়ে করে দেশে এনে বসবাস করেন।
দেশে এসে ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে ছয় বছর আগে সে পুনরায় মালয়েশিয়াতে চলে যায়। এর মধ্যে দেশে যাওয়া আসা করতেন। তবে কারও সাথে কোন ধরণের বিরোধ তাদের ছিল না বলে তিনি জানান।
কাজলের ভাই আরিফ জানান, ভাইয়ের বাসার পাশের বাসায় তিনি থাকতেন। প্রতিদিনের মতো সকালে বাসায় গেলেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সে চলে আসে। বিকেলও তাদের কোন খোঁজ না পাওয়ায় সে দোতলা বাড়ির জানালায় মই লাগিয়ে চার জনের মৃত দেহের সন্ধান পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, ঘরের ভেতর গলাকাটা মরদেহ দেখে তাদের চাচা আরিফুল ইসলাম পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাড়ি ঘিরে রেখে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে শ্রীপুর থানা পুলিশ, র্যাব সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই দোতলা বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Comments
