

ধুনটে বালু মহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান
পোস্ট করেছেন: নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৩, ২০২০ , ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অপরাধ,আইন ও বিচার,আজকের পত্রিকা,প্রচ্ছদ,রংপুর বিভাগ

মোঃ নাজমুল হাসান নাজির, :
সোমবার বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর শহড়াবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ১৮টি নৌকা ও ৫টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ব্যবসায়ীরা।
এসকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে অভিযানের ধারাবাহিকতায় উপজেলার বাঙ্গালী নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও যমুনা নদী থেকে ১৮টি নৌকাসহ ৫টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রনীর নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেলে যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের সহড়াবাড়ী এলাকা থেকে ১৮টি নৌকাসহ বালু উত্তোলনের ৫টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত ।
এর আগে ৯ আগষ্ট (রবিবার) উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ী এলাকা, ৮ আগষ্ট (শনিবার) নিমগাছী ইউনিয়নের জয়শিং ও ধামাচামা এলাকার বাঙ্গালী নদী থেকে কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পয়েন্টের বালুগুলো জব্দ করে সরকারী ভাবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, দীঘদিন ধরে উপজেলার নদী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে বলে খবর পাই। পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করি। গত তিনদিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা নদী থেকে ১৮টি নৌকাসহ ৫টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দকৃত বালু (এক লক্ষ এক হাজার এক টাকা) বিক্রি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অভিযান পরিচালনার সময় ড্রেজার মেশিন মালিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা ব্যাপী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
Comments
